এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও
ককসবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ভোগান্তি,দ্বিগুন ভাড়া এবং যানজটের কারণে দুর্ভোগ আর দুর্গতিতে পড়ছেন যাত্রী সাধারন। এটি যেন ঈদমুখী লোকজনের আনন্দের পরির্বতে হতাশা দেখা দেয়। তারপরও প্রয়োজনে চলাফেরা করছে। এদিকে পরিবহন সেক্টরের সর্বত্রই নৈরাজ্যের অভিযোগ উঠেছে । ঈদের পরদিন সকাল থেকে মঙলবার বিকাল পর্যন্ত ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। তবে নানা ধরনের ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে। ঈদগাঁও বাসষ্টেশনে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার শহরমুখী মানুষের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, ঈদকে ঘিরে মুলত পরিবহন সেক্টরে কোথাও নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। পরিবহন মালিকরা দ্বিগুন ভাড়া আদায় করেছে। সংশ্লিষ্ট পরিবহন কতৃপঙ্ক নীরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছে । মাঝখানে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ জনগণের। ভোগান্তি আর দুর্ভোগের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এসব লোকজন কোথাও কোথাও ঝগড়ায় লিপ্ত হচ্ছে পরিবহন চালকদের সাথে। কক্সবাজার থেকে আসা কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা জানান, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে ঈদগাঁওতে আসতে গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে আসতে ৩০টাকা নেয়া হতো। ঈদগাঁও থেকে চকরিয়ামুখী অপর আরেক যাএীর মতে, স্টেশন থেকে চকরিয়া স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ৩০ টাকা। কিন্তু এখন দাবি করে বসে তার দ্বিগুন টাকা।
তবে বিভিন্ন এলাকার যাএী সাধারনের মতে, লোকাল ঈদগাঁও লাইন,সী লাইন,হিল লাইন,চকরিয়া সার্ভিসে স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এদিকে কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন বাস, সিএনজি, মাইক্রো, ছার পোকা, ইসিসি পরিবহন, মাহিন্দ্রা, ম্যাজিক গাড়ি, কিরনমালা ও টমটম চালকরা ঝুপ বুঝে কুপ মেরে দ্বিগুন ভাড়া বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য সময়ের চেয়ে বর্তমানে ঈদের আমেজ কে ঘিরে দ্বিগুন থেকে তিনগুন ভাড়া নেয়া হয় বলে ভুক্তভোগী ও অসহায় যাএীদের অভিযোগ। অপরদিকে, ঝানজট নিয়ন্ত্রনে পুলিশদল তৎপর থাকলেও অতিরিক্ত যানবাহনের কারনে পুলিশকেও হিমশিম খেতে দেখা যায়।